স্টাফ রিপোর্টারঃ
একদিন এক রাত অতিবাহিত হয়ে শিশু বাচ্চাটির লাশ দাফন সম্পন্ন হওয়ার পর পরিচয় পাওয়া গেছে।
মৃতঃ শিশুটির নাম হচ্ছে এ্যানি আক্তার। এ্যানির মাতার নাম মোছাঃ ইয়াসমিন আক্তার (২৪), জৈন্তাপুর উপজেলার, গর্দনা গ্রামের মোঃ তুমাই মিয়ার মেয়ে ইয়াসমিন।
ইয়াসমিনের পারিবারিক তথ্য মতে জানা যায়, ইয়াসমিনের আরও একটি বিয়ে হয়। সেই স্বামীর ঔরসজাত একটি পুত্র সন্তানও রয়েছে।
সেই বিয়ে বিচ্ছেদের পর একই উপজেলার জৈন্তাপুরের লালখালা গ্রামের মোহাম্মদ আলীর পুত্র ইমরান মিয়ার (৩০) সাথে দ্বিতীয় বিয়ে হয় ইয়াসমিনের।
বিয়ের পর ১৫ মাস বয়সী এ্যানির জন্ম হয়।
ইয়াসমিন অভিযোগ করে বলেন- এ্যানিকে হত্যা করার রাতে চিকিৎসার কথা বলে হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে এনে পানিতে ফেলে দিয়ে চলে যায় ইমরান। এ কেমন পাষণ্ড। নিজের শিশু সন্তান কে হত্যা করার কি কান্ড। তাঁর যেন হয় মৃত্যু দন্ড।
উল্লেখ্য, ৩০ জানুয়ারি ২০২৪ ইং, মঙ্গলবার, হবিগঞ্জ জেলার, বানিয়াচং উপজেলার, কাগাপাশা বাজারের পশ্চিমে ব্রীজের নিচে ডোবা থেকে সকাল সাড়ে ১১টায় পরিচয়হীন এক কন্যার লাশ উদ্ধার করে বানিয়াচং থানা পুলিশ।
এদিকে লাশটির ময়নাতদন্তের জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে মর্গে নেওয়া হয়। ১দিন ১রাত শিশু বাচ্চাটির লাশ মর্গে থাকার পর লাশের ময়না তদন্তের কাজ শেষে লাশটি আঞ্জুমানে মফিদুল এর নিকট দাফন করার জন্য হস্তান্তর করেন পুলিশ প্রশাসন। শিশু বাচ্চার লাশটি বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করেন আঞ্জুমান মফিদুল এর সদস্যগন।