উমর ফারুক শাবুল: আজমিরীগঞ্জ উপজেলার ৩নং জলসুখা ইউনিয়ন ভুমি অফিসের ভুমি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ। সপ্তাহে দুই দিন দেওয়া হয় ভুমি সেবা। নামজারির কারেকশন ও জমির খাজনা নিয়ে দর-কষাকষিরও অভিযোগ রয়েছে। ১৭ ডিসেম্বর রোজ রবিবার অফিসে গিয়ে দেখা যায় অফিস খোলা। অফিস সহায়ক মোঃ তুহিন এবং আয়া অফিসে রয়েছে। কোন কর্মকর্তা অফিসে নেই। ১৮ই ডিসেম্বর রোজ সোমবার ১২টা ৩২ মিনিটে দেখা যায় অফিস খোলা আছে। কিন্তু কোন কর্মচারি ও কর্মকর্তা নেই। আয়া অফিস খোলে রেখেছেন।
একটি সুত্রে জানাযায়, কর্মচারী ও কর্মকর্তাগন রবি ও মঙ্গলবারে আসেন। আরও জানাযায়, অফিস সহায়কের মাধ্যমে প্রতিদিন অফিস কার্যক্রম চালু থাকার কথা তাকলেও তা হচ্ছে না। অফিস কর্মকর্তা ও অফিস সহকারী ইচ্ছা হলে আসে না হলে আয়ার মাধ্যমে অফিস খোলা হয়। কোন কোন দিন অফিস বন্ধ থাকে। এই নিয়ে জলসুখা ইউনিয়ন ভুমি অফিসের তহসিলদার মো: আলিমুদ্দিন এর সঙ্গে ফোনে আলাপ করলে তিনি জানান আমি অসুস্থ, সেচ্ছায় অবসরে যাচ্ছি। অফিস প্রতিদিন খোলা থাকার কথা। আমি অফিস সহায়ক কে প্রতিদিন উপস্থিত থাকার জন্য বলে দেব। টাকা পয়সা নেওয়া এবং মানুষ যেন হয়রানি না হয় সেই দিকে লক্ষ্য রাখিব।
এই নিয়ে জলসুখা ইউনিয়ন ভুমি অফিস সহায়ক মো: তুহিন এর সঙ্গে ফোনে আলাপ করলে তিনি জানান,অফিস সরকারি ছুটি ছাড়া প্রতিদিন খোলা থাকে। আজ তহসিলদার ডি সি অফিসে ছিলেন। নিজের কথা জিজ্ঞেস করলে কোন উত্তর নেই। কিছুক্ষণ পর বলেন আমি প্রতিদিন অফিস করি। কিন্তু ভুক্তভোগীদের অভিযোগ বাস্তবে তাকে নিয়মিত পাওয়া যায় না। এই নিয়ে আজমিরীগঞ্জ উপজেলা কমিশনার (ভূমি) সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ শফিকুল ইসলামের সঙ্গে ফোনে আলাপ করলে তিনি জানান, অফিস প্রতিদিন খোলা রাখার কথা। তবে তহসিলদার অসুস্থ থাকায় মধ্যে মধ্যে ছুটি নেয়। আজও ছুটিতে আছেন। এখানে একটি পদ শুন্য রয়েছে অচিরেই পূর্ন হবে। আর বাকি দিক গুলির সঠিক ব্যবস্থা নেব।