লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৬তম জন্মদিন আজ। ১৯৪৭ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছার জ্যেষ্ঠ সন্তান শেখ হাসিনা।
জীবনে অনেক ঘাত-প্রতিঘাত ও চড়াই-উতরাই পেরিয়ে টানা তৃতীয়বারের মতো সরকার পরিচালনা করছেন তিনি। তার এই পথচলা মসৃণ ছিল না। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকের বুলেটের আঘাতে মা-বাবা, তিন ভাইসহ পরিবারের অনেক সদস্যকে হারানোর পর ছোট বোন শেখ রেহানাকে নিয়ে দীর্ঘ সময় প্রবাসে অনেকটা শরণার্থীর মতো জীবন কাটে তার।
প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বাকশাল আমলে নিষিদ্ধঘোষিত রাজনৈতিক দলগুলিকে তাদের কার্যক্রম পুনরুজ্জীবিত করতে পদক্ষেপ গ্রহণ করার পর শেখ হাসিনা ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। নব্বইয়ের গণআন্দোলনে এরশাদের পতন হলে নতুন নির্বাচনের পর বিএনপি সরকার গঠন করে। এ সময় সংসদে প্রধান বিরোধীদলীয় নেতার ভূমিকা পালন করেন শেখ হাসিনা।
এরপর ১৯৯৬ সালের নির্বাচনে জিতে প্রথম এবং ২০০৮ সালে দ্বিতীয়, ২০১৪ সালে তৃতীয় এবং ২০১৮ সালে চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হন শেখ হাসিনা।
বর্তমানে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের ৭৭তম অধিবেশনে যোগ দিতে প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন। তিনি দেশে না থাকলেও দলের সভাপতির জন্মদিন উপলক্ষে বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। দলের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দলীয় সভাপতির জন্মদিনের কর্মসূচির কথা জানানো হয়।
সে অনুযায়ী আজ বেলা ৩টায় বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়েছে। এছাড়া রয়েছে কেন্দ্রীয়ভাবে বাদ জোহর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমসহ দেশের সব মসজিদে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল। একই সঙ্গে সকাল ১০টায় ধর্মরাজিক বৌদ্ধ মহাবিহারে বৌদ্ধ সম্প্রদায়, সকাল ৯টায় খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (সিএবি) মিরপুর ব্যাপ্টিস্ট চার্চে এবং বেলা সাড়ে ১১টায় ঢাকেশ্বরী মন্দিরে হিন্দু সম্প্রদায় বিশেষ প্রার্থনা সভার আয়োজন করেছে।
এসব কর্মসূচিতে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত থাকবেন। একই দিনে ঢাকাসহ সারা দেশে সব সহযোগী সংগঠন আলোচনা সভা, আনন্দ শোভাযাত্রা, দোয়া মাহফিল, বিশেষ প্রার্থনা, আলোকচিত্র প্রদর্শনীসহ দিবসটির তাত্পর্য অনুযায়ী যথাযথ স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি মেনে বিভিন্ন উপযোগী কর্মসূচি উদযাপন করা হবে।