মুষলধারে বৃষ্টি এবং ভারতের ত্রিপুরায় নির্মিত পাওয়ার প্রজেক্ট হাইড্রলিক্স বেড়িবাঁধ খুলে দেয়ার কারণে পানি বিপদ সীমার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে। কুমিল্লা জেলার কিয়দংশ সহ-
ফেনী জেলার ঘরবাড়ি মানুষজন পানিতে ভাসছে।
বিশেষ করে ফুলগাজী,জি,এম,হাট,বিলনিয়া থেকে আগত পানি পরশুরাম,চিতলিয়া,সলিয়া সালধর, নিলক্ষ্মী, রতনপুর,নুতন মুন্সির হাট,পীরব্ক্স হাট,উত্তর ও দক্ষিণ আনন্দপুর, কাজীরবাগ রাণীরহাট,একটু পূর্বে ধলিয়া, বক্সিবাজার, জি,এম,হাট,নুরপুর,শরীফপুর,
বসিকপুর,শ্রীচন্দ্রপর,
লক্ষ্মীপুর,পানির অতলগহ্বরে নিমজ্জিত।
ছাগলনাইয়া থানার অন্তর্গত পাঠাননগর, কাচারী বাজার,সোনাপুর,গন্ধব্যপুর,পূর্বে গতিয়াসহ,মোহমায়া,আমজাদহাট,বক্তারহাট,
মনুরহাট, সত্যনগর, ছাগলনাইয়ার উত্তরে বাঁশপাড়া, মঠুয়া,সতেরসহ আশেপাশের এলাকার মানুষের মানবেতর জীবন যাপন
রোনাজারির শেষ নেই কোথাও একবুক পানি কোথাও গলাপানি অনেক ঘরবাড়ি পানির নিচে গরুবাচুর মানুষজন পানিতে ভেসে যাচ্ছে বাসাবাড়ির ঘরের ছাদে উঠেও প্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য ও পানীয় জলের অভাবে বাঁচার নিশ্চয়তা খুঁজে পাচ্ছে না।
আমার বোন, ভাগিনা,ভাগিনি, ভাতিজা ভাতিজিসহ অনেকেই আশ্রয়কেন্দ্রে অনেক আত্মীয় স্বজন এখও নিখোঁজ জানিনা তারা কোথায় আছে কেমন আছে।
মোবাইল টাওয়ারে কাজ করতেছে না বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন থাকায় যোগাযোগ সঠিক ভাবে করা যাচ্ছেনা ভাতিজা তারেক বাণের পানিতে ভেসে গিয়েছে।
ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।
আমাদের পূর্বে দক্ষিণে মোকামিয়া,মধুপুর, কাশিপুর,নীচপানুয়া, শুভপুর,মুুহরিগঞ্জ সহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যার কারণে মানবেতর জীবন যাপন করছে।
যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন থাকার কারণে বেশ কয়েকদিন মানুষের অনাহারে জীবন যাপন করতে হয়েছে।
ফেনী শহরের বনানীপাড়া,জি,এ,একাডেমি বারাহীপুর, রেলগেইট, অচিনতলা,গাজীক্রস রোড,গুদাম কোয়াটার, ট্রাঙ্করোড,নাজির রোড, দক্ষিণে ফাজিলপুর,বটতলী বাজার মহিপালের দক্ষিণে পশ্চিমে জায়লস্কর, জাঙ্গালিয়া সহ দাগন ভুঁইয়ার করিমবক্স বাজার পর্যন্ত পানি আর পানি কোথাও কোমর পানি,কোথাও হাটুপানি,কোথাও একবুকপানি,
কোথাও নাক বরাবর পানিতে মানুষ সাঁতার কাটতেছে। অনেকগুলো স্পীডবোড আসার পরেও লোকজন নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে পারে নাই। লাশের পর লাশ পানিতে ভাসছে
অনেক মৃত লাশের হদিস নেই।
আমিও আমার পরিবার সবাই ভুক্তভোগী।
লক্ষ লক্ষ টাকার ধনসম্পদ পানির নীচে তলিয়ে গিয়েছে তবুও আমরা যাঁরা প্রাণে বেঁচে আছি মহান আল্লাহর নিকট শোকর গুজার করছি আর যারা মারা গিয়েছেন তাদের মাগফেরাত ও জান্নাত কামনা করছি।
এই ভয়াবহ অবস্থায় মানুষের আত্মচিৎকারে আকাশ-বাতাস প্রকম্পিত।
১৯৮১ সালের টর্নেডো, ১৯৮৮সালের ভয়াবহ বন্যা,১৯৯১সালের বঙ্গোপসাগরে জলোচ্ছ্বাস এর রেকর্ড ভঙ্গ করেছে এবার ২০২৪ এর ভয়াবহ বন্যা,
এমতাবস্থায় আমরা সহৃদয় ব্যক্তিদের সহযোগিতায় কিছু ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করেছি এবং ত্রাণকাজ অব্যাহত আছে।
বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষ অবস্থান করিতেছে ত্রাণকাজ অব্যাহত আছে যোগাযোগের অভাবে অনেক যায়গায় এখনও খাদ্যদ্রব্য সঠিক ভাবে পৌঁছে নাই।
সম্পদশালী লোকদের প্রতি অনুরোধ আপনারা সবাই অহহায় মানুষদের সহযোগিতায় এগিয়ে আসুন আর যাদের সমর্থ আছে কিছুনা কিছু সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিন।এটা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব এবং মানবিক অধিকার।
লিখক:
সহ সভাপতি বাংলাদেশ সাপ্টার,
সহ সাহিত্য সম্পাদক কলম একাডেমি লন্ডন। জি,এম,হাট,ফুলগাজী ফেনী।
<p>সম্পাদক মন্ডলীর সভাপতি:মোস্তাক আহমেদ, সম্পাদক:আতিকুল ইসলাম সোহাগ, নির্বাহী সম্পাদক: উমর ফারুক শাবুল, বার্তা সম্পাদক:মোঃ শরিফ উদ্দিন, সম্পাদক (+8801711-462641), নির্বাহী সম্পাদক (+8801727241310), বার্তা সম্পাদক(+8801750025347)<br><br></p>
© All rights reserved 2022 habiganjerkantho.com