বাংলাদেশের জাতীয় কবি
বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল
জাহেদা খাতুন মায়ের কোলে
ফুটে ছিলে হয়ে ফুল।
এগারো জ্যৈষ্ঠ মধু মাসে
এসেছিলে তুমি ধরায়
এসেছিলে তুমি মায়ের কোলে
ভারত বর্ষের চুরুলিয়ায়।
ছোট বেলায় দস্যি পনায়
ছিলোনাকো তোমার জুড়ি
গাছে চড়া, সাঁতার কাটা
এভাবে কাটাতে দিনমান ঘুরি।
সেই শিশুকালে হোটেল ঘরে
বেলনায় রুটি বেলেছ ঝুড়ি ঝুড়ি
মুখে সর্বক্ষণ রচিছ কাব্য
নিয়েছ সবার হৃদয় কাড়ি।
শিক্ষার পাঠ পার না হতেই
সেনাবাহিনীতে দিলে যোগ
মননে বিকশিত ধর্ম নিরোপেক্ষ সত্তায়
করতে হয়েছিল কারা ভোগ।
অবিভক্ত ভারত উপমহাদেশে তুমি
পেয়েছিলে বিদ্রোহী কবি পরিচয়
বাঙালি জাতি গর্বিত আজি
তুমি জাগিয়েছ বাংলাকে গানে ও কবিতায়।
ক্ষণে ক্ষণে তুমি ভুষিত হয়েছ
স্ব মহিমায় স্বর্ণ পদকে
এছাড়াও ছিলো সন্মানের স্থম্ভ
পদক স্বাধীনতা, একুশ, পদ্মভুষনে।
বৃটিশ সরকার পদ মর্যাদায়
করেছিল তোমায় হাবিলদার
তবুও তুমি ন্যায়ের কান্ডারী হয়ে
তুলে নিয়েছিলে বিদ্রোহের হাতিয়ার।
ধাপে ধাপে পরাধীনতার শৃঙ্খল ভেঙে
স্বাধীন হয়েছে বাংলাদেশ
তুমি হয়েছ জাতীয় কবি
গর্বিত হয়েছে সার্বভৌম স্বাধীন দেশ।
তুমি বাংলার কবি বাংলার প্রান
বাঙালি জাতির অনুপ্রেরণা
তুমি পথপ্রদর্শক বিশ্ব মানবতার
তাই তোমাকে নিবেদন এই বিনীত শ্রদ্ধা।
খালিশপুর খুলনা।