বৃহত্তর সিলেটের সাহিত্য অঙ্গনের এক আলোকিত নাম কবি শাহ্ কামাল আহমদ। জন্ম ১৯৭৩ সালে সিলেটের বিশ্বনাথ থানার নাজির বাজারের ঐতিহ্যবাহী ধর্মদা পীর বাড়ি গ্রামে। তাঁর পিতা মৃত শাহ্ মশরফ আলী ও মাতা মৃত শাহ্ আয়শা বেগম। পাবিবারিক জীবনে কবির তিন ভাই ও তিন বোন রয়েছেন। কবি শাহ্ কামাল আহমদ জীবনযুদ্ধে হার না মানা এক অগ্র পদাতিক। দেশের গন্ডি পেরিয়ে একসময় মধ্যপ্রাচ্যে গমন তদোপরে যুক্তরাজ্যে স্থায়ী হন।বসবাস করছেন যুক্তরাজ্যের বার্মিংহামে।পৃথিবীর যে প্রান্তেই রয়েছেন , সাহিত্যের প্রতি তাঁর ভালোবাসা রয়ে যায় অটুট অক্ষয়।
স্কুল জীবন থেকে কবিতা লেখার সূচনা হয়েছিল ,এই পরিণত বয়সে এসেও তা চলমান রয়েছে।কবির ইচ্ছা জীবনের শেষ বেলাভূমে এসেও নিজেকে সাহিত্যের সাথে অটুট বন্ধনে আবদ্ধ করে রাখবেন।সাহিত্যচর্চার পাশাপাশি সাহিত্য সংগঠনেও কবির সরব উপস্থিতি রয়েছে। সিলেটের আলোচিত সাহিত্য সংগঠন জালালাবাদ কবি ফোরামের কেন্দ্রীয় পর্ষদের উপদেষ্টা নির্বাচিত হন।আমাদের গল্পকথা সংগঠনের কেন্দ্রীয় পরিচালকও তিনি।সবিশেষ নিজে প্রতিষ্ঠা করেন “বাংলা সাহিত্য পরিষদ ইউকে”।কবি শাহ্ কামাল আহমদ একজন বহু গ্রন্থ প্রণেতাও।তাঁর প্রকাশিত গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে কে তুমি ( কবিতা ) ( ২০০৩ ) ,ঢাকা বই মেলা প্রজাপতি মন আমার ( কবিতা ) ( ২০১৫ ) ,বেদনার জলপ্রপাত ( কবিতা ) (২০১৬ ),অভিমানী ছেলে ( কবিতা ) ( ২০১৭ ) ,মেঘ বালিকা ( কবিতা ) ২০১৮ ) ,শেষ বিকেলের মেয়ে ( গল্প ) ( ২০১৯ ) ,নিরামিষ ভালোবাসা ( উপন্যাস ) ২০১৯ )। আরও একটি গ্রন্থ প্রকাশের অপেক্ষায় রয়েছে এবং দশটি যৌথ কাব্যগ্রন্থ রয়েছে। কবি শাহ্ কামাল আহমদ তাঁর ক্ষুরধার লেখনীর জন্য অসংখ্য সাহিত্য সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন। বাংলাদেশ কবি সভা সম্মাননা ( ২০১৬ ),জালালবাদ কবি ফোরাম সম্মাননা ( ২০১৬ ),জাকফো পদক ( ২০১৭ ),জাগরণ উচ্চ বিদ্যালয় মহান স্বাধীনতাদিবস সম্মাননা ( ২০১৭ ),আমাদের গল্পকথা সম্মাননা ( ২০১৮ ),সিলেট লেখক ফোরাম সম্মাননা ( ২০১৯ ),এডুকেশন ফর সার্ভিস ( ২০২১)।
( ২০২৪ )পরিত্যক্ত পৃথিবী সাহিত্য সম্মাননা
পশ্চিমবঙ্গ কলকাতা (ভারত )
তাছাড়াও আরও অনেক সাহিত্য ও সামাজিক সংগঠন থেকে সম্মাননাপ্রাপ্ত হয়েছেন।কবি শাহ্ কামাল আহমদ এর প্রশংসনীয় উদ্যোগ হলো নিজের অর্থায়নে একঝাঁক প্রতিভাবান কবিদের নিয়ে একটি যৌথ কাব্যগ্রন্থ প্রকাশ করা, যেটির বাস্তবায়ন হলো।ভবিষ্যতেও এরকম উদ্যোগ চলমান থাকবে ,সেই প্রতিশ্রুতি তিনি ব্যক্ত করেছেন।বাংলা সাহিত্যকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে তিনি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ এবং সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশী।