আমাদের অনেক বুজুর্গ আছেন মউত আর পরাজয়ের ভয়ে দু’মূখি ইঁদুরের গর্তের মত গর্ত কুঁড়েন। কারণ জান বাঁচানোর স্বার্থে সুযোগ বুঝে এক দিকে ঢুকে অন্য মূখে বাহির হওয়ার জন্য। কিন্তু তারা জানেন না ইহুদিরা হযরত নবী করিম সা: এর সাথে চুক্তি ভঙ্গ করেছে বারংবার। নবী সা: কি চুক্তি থেকে বিরত ছিলেন ? নবী কি মদীনায় শান্তি চুক্তি করেন নাই ? ইহুদীরা কি তাহা ভঙ্গ করে নাই ? যার প্রতিফলে নবী কি বলেন নাই ওদেরকে আরব উপত্যাক্ষা থেকে বাহির করে দেওয়ার জন্য। নবী কি কাফির মুশরিকদের সাথে সন্ধি করেন নাই ? হুদাইবিয়ার সন্ধি কি মনে আছে আমাদের বুজুর্গ বর্গের ? হুদাইবিয়ার সন্ধিতে আপনার মত অনেক বুজুর্গ রাজি ছিলেন কি ? হযরত ওমর রা: তো মোটেও রাজি ছিলেন না। সামান্য পরাজয়ের গ্লানী দেখে আমাদের বুজুর্গগণ নিরাশার ছায়ায় ঢেকে যান। আশাহত হয়ে অনেক আবল তাবল বলতে শুরু করেন। করোনা মহামারিতে যেমন বলেছিলেন বলেছেন। দুনিয়া ছাড়া যাবে ঈমান ছাড়া যাবেনা বাতিলের পদাঙ্ক করা যাবেনা। চুক্তি সন্ধি কৌশল হিকমতের হাতিয়ার নবীর সা: এর পদাঙ্কে চুক্তি সন্ধি বিজয়ের হাতিয়ার। আল্লাহ হামাসের মাধ্যমে দুনিয়ার ভীতু বুজুর্গদেরকে দেখিয়ে দিয়েছেন ঈমানী শক্তির নিকট দুনিয়ার সব শক্তি পরাজিত। আল্লাহর জন্য যারা লড়ে তাদের নিকট পরাশক্তি নমরুদ ফেরাউন লন্ডভন্ড নিশ্চিহ্ন। অহুদের সাময়ীক পরাজয় ভুলের শিক্ষা মুমিন একবার ভুল করে বারবার ভুল করে না। মরণের ভয়ে কাফিরের নিকট ঈমান বিক্রি করেনা। মুমিন মুজাহিদ শাহাদাতের তামান্নায় বাতিলের মুকাবিলা করে। প্যালেস্থানের কোন এক বোন সেদিন বলতে শুনেছি ঈদের জামা চাইনা শাহাদতকে আলিঙ্গন করিতে চাই। বুজুর্গ গণ কৌশলকে দূর্বলতা মনে করা মারাত্মক ভুল। মরণের ভয়ে আশাহত হয়ে মুমিনের জন্য মুজাহীদের জন্য দোয়ার দুয়ার বন্ধ করে দেওয়া ওবাইর অনুসরণ ব্যতিত কিছু না।
মুমিন মরেনা সুখের জীবন বরে
মুমিনের জানমাল আল্লাহর তরে
“জান্নাতের বিনিময় মুমিনের জানমাল
আল্লাহ করে নিয়েছেন ক্রয় “
ভয় ক্ষয় নাফসের পরিক্ষায় মুমিনের পরিচয়
ছবর ধৈর্যে আল্লাহর উপর ভরসায়
উত্তীর্ণ মুমিন ছিনিয়ে আনে আল্লাহর সন্তুষ্টির বিজয়।
আফগানের তালেবানের বেলায়ও কিছু কিছু বুজুর্গ আপনার মত করে আবলতাবল অনেক কিছু বলেছিলেন। কিন্তু বাস্তবে আল্লাহর রহমতে তাঁদেরই চুড়ান্ত বিজয় হয়েছে। দুনিয়ার কাফির শক্তি মহাশক্তি গুলি ঈমানের শক্তির কাছে মাথা নত করে পালিয়েছে। ইনশাল্লাহ ইহুদীদেরও তেমন দশা হইবে পাথরের পাদ্দেশ থেকে তল্লাশি করে নিশ্চিহ্ন করা হবে, ইনশাল্লাহ।