মোঃ আশিকুর রহমান আজমিরীগঞ্জ প্রতিনিধি:-
একটা সময় গ্রামগঞ্জের মানুষের ঘুম ভাঙতো কাকের ডাকে। গ্রামগঞ্জের আনাচে-কানাচে এই পাখির সংখ্যাও ছিল চোখে পড়ার মতো।
কিন্তু নানা কারণে এখন আর গ্রামগঞ্জে আগের মতো কাক চোখে পড়ে না। বাসস্থান ও খাদ্যের সংকট, অপরিকল্পিত বাসস্থান, এবং মোবাইল টাওয়ারের মতো প্রযুক্তিগত স্থাপনার আধিক্যের কারণে কাকসহ অনেক প্রাণীই গ্রামগঞ্জ থেকে বিলুপ্তির দিকে যাচ্ছে। এতে প্রাকৃতিক চক্র বা বাস্তুসংস্থান বিপন্ন হয়ে পরিবেশ বিপর্যয়ের আশঙ্কাও করছেন তারা।
হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলার সারা এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কাকের সংখ্যা একেবারেই হাতেগোনা।
তবে রাস্তার পাশে কিংবা ময়লার ভাগাড়ের আশপাশে কাকের সংখ্যা কিছুটা দেখা যায় । গ্রামগঞ্জে আগে কী পরিমাণ কাক ছিল বা কাক কমে যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে কোনও গবেষণা বা গণনা না থাকলেও পাখিপ্রেমীরা বলছেন, গত দশ বারো বছরে কাকের সংখ্যা যে হারে কমেছে তা খালি চোখেই বোঝা যায়।
যে হারে অপরিকল্পিত ভাবে বনাঞ্চল কেটে ঘরবাড়ি তৈরি হচ্ছে এতে কাকের মতো আরো পাখিরা বাসস্থান হারাচ্ছে। পর্যাপ্ত খাবার থাকলেও মূলত বাসস্থান সংকটের কারণে কাকের সংখ্যা কমে যাচ্ছে।’
বিভিন্ন এলাকার বিশিষ্ট মুরব্বি ও সচেতন মানুষদের সঙ্গে আলোচনা করলে তাহারা জানায় এগুলো হলো-বাসস্থান ও খাদ্যের সংকট, অপরিকল্পিত বনাঞ্চল কেটে ঘরবাড়ি তৈরি এবং মোবাইল টাওয়ারের মতো প্রযুক্তিগত স্থাপনার আধিক্য। এসবের কারণে কাক প্রাকৃতিক পরিবেশে তার যে সাপোর্ট প্রয়োজন হয় তা ঠিকভাবে পায় না।’ তাই কাক ও বিভিন্ন প্রজাতির পাখির সংখ্যা দিন দিন কমে যাচ্ছে ।
কাক কমে যাওয়ার কারণে‘প্রকৃতির নিজস্ব যে চক্র থাকে আমরা যেটাকে বাস্তুসংস্থান বলি তাতে কাক একটা গুরুত্বপূর্ণ অংশ।
এই চক্রে অন্যান্য পাখি, পতঙ্গ, সরীসৃপ, স্তন্যপায়ী,বৃক্ষ ইত্যাদি সবই আছে। এই চক্র থেকে কোনও স্থান শূন্য হলে তার প্রভাব হবে ইনট্যানজিবল।