নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার অংশ হিসেবে এক সপ্তাহের ব্যবধানে ফের হাসপাতালে গেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। গত রোববার সন্ধ্যা ৭টা ৪০ মিনিটের দিকে রাজধানীর গুলশানের বাসভবন ফিরোজা থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হয় তাকে বহনকারী গাড়ি বহর। বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, মেডিকেল বোর্ডের সুপারিশক্রমে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করার জন্য ম্যাডামকে (খালেদা জিয়া) এভারকেয়ার হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে তাকে আবার বাসায় নেয়া হবে। তবে রাত সাড়ে ৮টায় এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত বেগম জিয়া হাসপাতালেই ছিলেন। সেখানে বিএনপির সিনিয়র নেতারা উপস্থিত ছিলেন। তার আগে তিনি যখন বাসা থেকে বের হন তখন নেতাকর্মীরা সেখানে অবস্থান নেন। অনেকেই তার গাড়ি বহর অনুসরণ করে হাসপাতাল পর্যন্ত আসেন।
এর আগে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গত সোমবার বিকেলে এভারকেয়ার হাসপাতালে যান খালেদা জিয়া। পরে হাসপাতাল থেকে বাসায় ফেরেন তিনি। পরদিন মঙ্গলবার তার চিকিৎসার সার্বিক বিষয় পর্যালোচনা করতে বৈঠক করেন মেডিকেল বোর্ড সদস্যরা। তারই অংশ হিসেবে গতকাল তাকে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আবারো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
৭৮ বছর বয়সি খালেদা জিয়া বেশ কিছু রোগে ভুগছেন। তার আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, চোখের সমস্যাসহ নানা শারীরিক জটিলতা রয়েছে। এর মধ্যে করোনায় আক্রান্তও হয়েছিলেন। বিএনপি ও পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য সরকারের কাছে একাধিকবার আবেদন জানানো হলেও সেটি আমলে নিচ্ছে না ক্ষমতাসীনরা। সরকার বলছে, বেগম জিয়াকে দেশেই চিতৎসা নিতে হবে।
কথিত জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদ- দেন বকশীবাজার আলিয়া মাদরাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ আদালত। রায় ঘোষণার পর খালেদাকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডে অবস্থিত পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রাখা হয়। ওই বছরের ৩০ অক্টোবর বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে করা আপিলে আরও পাঁচ বছরের সাজা বাড়িয়ে ১০ বছর করেন হাইকোর্ট। একই বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়ার সাত বছরের সাজা হয়। দীর্ঘদিন কারাভোগের পর তিনি সরকারের নির্বাহী আদেশে বাসায় অবস্থান করছেন।